ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

কিশোরী মেয়েকে উদ্ধারে অসহায় পিতার আহাজারী শুনছে না থানা পুলিশ!

0001-300x150উখিয়া প্রতিনিধি॥

কিশোরী মেয়েকে উদ্ধারের অসহায় পিতার আহাজারী শুনছেনা থানা পুলিশ। উদ্ধার হয়নি অপহরণের ২১ দিনেও কিশোরী রাবিয়া। লিখিত অভিযোগ নিয়ে একাধিক বার গেলেও ফেরত দিয়েছে উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। উপায় না দেখে কিশোরীর গরীব পিতা ফরিদ আলম শরনাপন্ন হন সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। তিনিও বলেছেন, ওসির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন। এ হচ্ছে নিখোঁজ বা অপহরণ হওয়া কিশোরীর পিতার আইনী সহয়তা চাইতে গিয়ে এমন হতশার শিকার হন।

জানা যায়, উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা গ্রামের ফরিদ আলমের কিশোরী কন্যা রাবিয়া আক্তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে দাদার বাড়ী ধুরুমখালী নতুন পাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। গত ১১ ফেব্র“য়ারী বিকেলে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে এক দল সন্ত্রাসী ফিল্মি কায়দায় রাবিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। উখিয়ায় অপহৃত কিশোরী রাবিয়া আক্তার অপহরণের ২১ দিনের পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মেয়ের সন্ধান বা উদ্ধার না হওয়ায় অপহৃতার পরিবার চরম হতশা ও উৎকণ্ঠায় জীবযাপন করছে। উখিয়া থানার তদন্তকারী অফিসার এসআই শাহজাহান কামাল জানান, কিশোরী রাবিয়া কে উদ্ধারের জন্য সম্ভাব্য এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পিতা ফরিদ আলম অভিযোগ করে বলেন, গুরা মিয়া গ্যারেজ এলাকার ইমাম হোছনের পুত্র কাশেম উদ্দিন প্রকাশ আব্বুুইয়ার (২৬) নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সহযোগী হিসাবে ছিল একই এলাকার রশিদ আহমদের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম (২৭, মৃত নুর আলম মুন্সির পুত্র শহিদুল্লাহ (২৬) ও ইমাম হোছন (৬০)। মেয়েকে তড়িত অপহরণ কারীর কবল থেকে উদ্ধার করতে থানায় সাধারণ ডায়েরী লিপিবদ্ধ করেন। যার নং- ৪৬৪, তারিখ- ১৩/০২/২০১৬ইংরেজী।

এদিকে কিশোরীর রাবিয়াকে অপহরণের ২১দিন পরও উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে না পারায় অপহৃতার পরিবার উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিনাপাত করছে। অপহৃতার পিতা আরো অভিযোগ করে বলেন, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমানের নিকট লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি তা আমলে না এনে উল্টো অসৌজন্যমূলক ব্যবহার এবং অপহৃতের কিশোরী মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলে আমরা কেন তোমার মেয়েকে খুঁজে বের করব। পিতা-মাতার কাছ হচ্ছে মেয়ে কোথায় আছে খোজখবর নেওয়া। এ বলে তাঁড়িয়ে দেয়। এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি অবহিত করার জন্য সহকারী পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) আবদুল মালেক মিয়ার নিকট শরনাপন্ন হন কিশোরীর পিতা। তিনি বিষয়টি মনযোগ সহাকরে শুনলেও পরক্ষনে ওসির সাথে কথা বলে কি হয়েছে দেখবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, মেয়ে নিখোঁজের বিয়ষটি থানায় জিডি করা হয়েছে এবং সকল থানায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। কোন সংবাদ পেলেই নিখোঁজ রাবিয়া কে উদ্ধারে পুলিশ এগিয়ে আসবে।

পাঠকের মতামত: